আমরা
ফেসবুকে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় ছবি তুলে আপলোড করি, নিজের ছবি তো আছেই, সাথে আবার স্ত্রীর ছবিও, এ কেমন বেহায়াপনা আমাদের, বুঝলাম না ।
নিজের স্ত্রীকে অন্যে দেখুক,নিজের স্ত্রী অন্যের পণ্য হউক, এটা কি আমরা চাই? আমার স্ত্রী কালা না ফর্সা, চিকন না মোটা, খাট না লম্বা, ঠোটটা কেমন, দাত গুলো কেমন, নাকটা কেমন,কপালটা কেমন, চুল কেমন -------------------ইত্যাদি, এগুলো কি মানুষকে দেখানোর জন্য ? ইসলামি কালচার এ সম্পর্কে কি বলে? আপনি হয়ত বলবেন, এগুলোর সাথে যারা জড়িত তারা তো ইসলামের বাহিরের লোক, এ কিভাবে সম্ভব? আমি যে তাদের সবার নামই দেখলাম ইসলামিক, কত সুন্দর নাম! আব্দুল্লাহ, আব্দুর রহমান,---- আসলে এদের ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানই নাই, এরা যদি এদের নিজের নামের অর্থও জানতো আর তার যথাযথ হ্বাক আদায় করত, তাহলে এরা কখনই এই রকম বেহায়াপনা কাজের সাথে সম্পৃক্ত হত না ।
ইসলামের
দৃষ্টিতে ছবি তোলাই হারাম, যদিও এ যুগের আলেমেরা শুধু মাত্র প্রয়োজনের তাগিদে ছবি উঠানো যাবে বলে মতামত দিয়েছেন, আবার কেউ কেউ বলেছেন যন্ত্রদিয়ে ওপেন করা লাগে সেগুলো উঠানো যেতে পারে(তাও প্রয়োজনে) সেখানে আপনি আপনার স্ত্রীর ছবি আপলোড করছেন বিভিন্ন ভঙ্গিমায়, হায় আফসুস এই মুর্খ জাতীর জন্য ।
হাদীছে
বর্ণিত হয়েছে দাউস ব্যক্তি জাহান্নামে যাবে, দাউস ঐ ব্যক্তিকে বলা হয়, যে তার নিজের স্ত্রীর বেহায়াপনাকে নিষেধ করে না ।(হাদীছটির সঠিক বর্ণনা এবং রেফারেন্স আমার এই মুহুর্তে মনে নাই, পরে এডিড করে দেওয়া হবে-ইনশাআল্লাহ)আর আপনি কি করছেন? আপনার নিজের স্ত্রীকে বেহায়াপনা শিক্ষাচ্ছেন ।আর
আমরা কি করছি? তা নয়ন ভরে দেখছি, তা থেকে অন্তরে সুখ অনুভব করছি, আর চিন্তা করছি ১০০০টা লাইক দিতাম ।
ফলে আমার কি হল? একাধারে চোখের যেনা, অন্তরের যেনা করলাম আবার যার পোষ্টটাকে লাইক দিলাম তাকে সমর্থন করলাম যে, তুমি চালাইয়া যাও পরবর্তীতে আবারও লাইক দিব, হারাম কাজে সমর্থনের মাধ্যমে নিজেও পাপের অংশীদ্বার হলাম ।
আল্লাহতায়ালা
বলেনঃ “মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের লজ্জা স্থানের হেফাযত করে।এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন ।
ঈমানদ্বার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের লজ্জা স্থানের হেফাযত করে ।
তারা যেন যা সাধারনতঃ প্রকাশ মান তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে -----নুর-৩০-৩১”
সুতরাং
কোন কিছুতে লাইক দেওয়ার আগে ভেবে চিন্তে লাইক দিন, যাতে অন্যের করা পাপ নিজেকে বহন করতে না হয় ।
আর যে পোষ্ট করবেন, সেও ভেবে দেখবেন, আপনার পোষ্টে কি অনৈতিক কিছু আছে?
No comments:
Post a Comment