ইবলীস
শয়তান প্রথম যে হাতিয়ার দিয়ে মানুষকে আঘাত করে ছিল তা হচ্ছে “আদম ও হাওয়া(আঃ) কর্তৃক আল্লাহর আদেশ লঙ্ঘন করানো যার ফলে
আদম
ও হাওয়া(আঃ) উভয়েই উলুঙ্গ হয়ে যায়”
এখান
থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে্, শয়তানের প্রাথমিক মিশন হচ্ছে মানুষকে উলুঙ্গ করার মাধ্যমে আল্লাহর আদেশ লঙ্ঘন করানো ।
এই প্রাথমিক কাজটি সে করতে পারলেই তার সফলতার সম্ভাবনা ১০০% ।
আদম ও হাওয়া(আঃ) এর উপর যেই
অস্ত্র
ব্যবহার করে সে ১০০ ভাগ সফল হয়েছিল ।
হে আদম
সন্তানগণ-
শয়তান যেন
তোমাদেরকে সেইরুপ ফিতনায় জড়িয়ে ফেলতে না পারে যেইরুপ তোমাদের পিতামাতাকে(ফিতনায় জড়িয়ে ফেলে) জান্নাত থেকে
বহিস্কৃত করেছিল তাদেরকে তাদের লজ্জাস্থান দেখাবার জন্য বিবস্ত্র
করেছিল ( আল-আরাফ -২৭)
উপরোক্ত
আয়াতে আল্লাহতায়ালা মানব সন্তানদের উদ্দেশ্য করে বলেন যে, শয়তানের সেই চক্রান্ত থেকে তোমরা মুক্ত থাকবে যেই চক্রান্তে তোমাদের আদি পিতামাতাকে আক্রান্ত করা হয়েছিল(যাতে তাঁদের উভয়কে উলুঙ্গ করা হয়েছিল), ঐ চক্রান্তে নিমোজ্জিত হওয়ার ফলে তাঁদেরকে জান্নাত থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, আর তোমাদেরকে সাবধান করা হচ্ছে যে, হে মানব সন্তান, তোমরা যদি এরুপ চক্রান্তে আক্রান্ত হও(অর্থাৎ উলুঙ্গ হও) তবে তা তোমাদের জান্নাতে প্রবেশের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে ।
মুলতঃ
মানব সন্তান বিবস্ত্র হওয়া একটি ফিতনা, আর এই ফিতনা ছিল মানব জাতীর উপর শয়তানের প্রথম আঘাত, শয়তানের সেই মিশন আজও চলছে কিন্তু ইবলীসের চক্রান্ত আমরা বুঝতে সক্ষম হচ্ছি না ।
কোন মানুষকে উলুঙ্গ করতে হলে তাকে প্রথমেই সরাসরি উলুঙ্গ করা সহজ না হলেও, মানুষকে উলুঙ্গ করার জন্য শয়তান সুকৌশলে মানুষের পরিধেয় বস্ত্রকে দিন দিন ছোট করে চলছে ।
মহিলাদের
ক্ষেত্রে একটি উদাহরণঃ
শয়তান
মানুষকে এভাবে কুমন্ত্রনা দিচ্ছে যে, মাথার চুল না ঢাকা এটা তেমন কোন পাপের কাজ নয়, তখন যে মহিলা আগে মাথার চুল ঢেকে রাখত ঐ মহিলা আস্তে আস্তে একদিন
মাথার
চুল ঢাকে না এবং মনে করে এতে তার তেমন পাপ হচ্ছে না ।
কিছু কাল এ রকম চলতে থাকে, একে অপরের নিকট হতে শিখতে থাকে ।
মেয়ে তার মায়ের নিকট হতে শিখে ।
এভাবে একটি কাল যখন অতিক্রান্ত হয়ে যায়, তখন ঐ সমাজের লোক আর জানেই না যে, মাথার চুল ঢাকা পাপের কাজ ।
এবং সমাজে এটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় ।
তারপর শয়তান আবার এভাবে কুমন্ত্রনা দেয় যে, বুকের উপর কাপড় না দেওয়া তেমন কোন পাপের কাজ নয় ।
এই ভাবে শয়তান মানুষকে ধোকা দিচ্ছে আর ক্রমান্বয়ে তাদের পরিহিত বস্ত্রকে ছোট করে চলেছে যে এক সময় সে মানুষকে উলুংগ করে ছাড়বে, যার থেকে সাবধান থাকার জন্য আল্লাহতায়ালা আমাদের হুসিয়ার করেছেন ।
আল্লাহ আমাদের হেফাজতে রাখুন-আমীন ।
No comments:
Post a Comment