Sunday 19 April 2015

আমি কি ঈমানের পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত আছি?



আমার ছেলে বেলা থেকে অদ্যবধি কত যে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছি তার সঠিক হিসাব আমি দিতে পারব না কিন্তু এই পরীক্ষা গুলি দিতে কত যে কষ্টের সময় জীবন থেকে অতিবাহিত হয়েছে তা কিছুটা হলেও অনুভব করতে পারি কত যে রাত্রি অতিবাহিত হয়েছে চক্ষু দুটি মুদিত হয় নাই বই হাতে রাত্রি জাগরণ সহ দিবালোকেও নিজেকে নিঃশেষ করে দিয়েছি বইয়ের পাতায় যদিও দুএক সময় বন্ধুদের সাথে একটু আড্ডা দেওয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র কিন্তু তা শুভ হয় নাই, কারণ মায়ের চোঁখে ফাঁকি দেওয়া ছিল দুষ্কর বিষয়, মায়ের চোঁখ রাঙ্গানী কত যে দেখতে হয়েছে ----কিন্তু কেন? এসবের পিছনে কি উদ্দেশ্য ছিল?
পরীক্ষার ফলাফল যাতে ভাল হয়, তারপরে ভাল একটা কর্ম সংস্থান হয়, অবশেষে এই দুনিয়ায় ভাল একটা জীবন অতিবাহিত হয়, তাইতো !
রাছুল(সাঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ তায়ালার কাছে যদি এই পৃথিবীর মুল্য মশার একটি ডানার সমান হত, তাহলে আল্লাহতায়ালা কোন কাফের সম্প্রদায়কে এক ঢোক পানিও পান করতে দিতেন না
হায়রে দুনিয়া যার মুল্য মশার একটি ডানার সমান নয়, তার জন্য প্রতি নিয়ত আমরা কত প্রতিযোগিতার ভিতর নিমজ্জিত কত পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করলাম, রাত জেগে কত প্রস্তুতি নিলাম, এখনও নিচ্ছি কিন্তু কখনও কি একটু চিন্তা করেছি এই দুনিয়াই শেষ নয়, এর পরে আরও একটি দুনিয়া আছে, তার জন্য কি কোন প্রস্তুতি গ্রহন করছি? এই নশ্বর দুনিয়ার জন্য কত আয়োজন, কত প্রচেষ্টা কিন্তু সেই অবিনশ্বর দুনিয়া, যার কোন শেষ নেই, তার জন্য কি কোন কিছু করছি? বুদ্ধিমানতো সেই ব্যক্তিই যে, দুনিয়ার জীবনের চেয়ে আখিরাতের জীবনকে প্রাধান্য দেয় এবং তা পাওয়ার জন্য নিরলস পরিশ্রমে রত
আপনি যদি ঈমানের দাবিতে সত্যবাদী হন, তবে অপেক্ষা করুন, এই দুনিয়াতেই আপনার পরীক্ষা করা হবে, আর সেই পরীক্ষার জন্য আপনার কোন প্রস্তুতি আছে কি?    
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ মানুষ কি মনে করেছে যে, তারা-‘আমরা ঈমান এনেছি কথা বললেই তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হবে  এবং তাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না” (আনকাবুত-)
তোমরা কি মনে কর যে, তোমরা জান্নাতে দাখিল হয়ে যাবে, যখন আল্লাহ তোমাদের মধ্যে কে জিহাদ করেছে এবং কে ধৈর্যশীল তা এখনও জানেন না?”(আল ইমরান-১৪২)
তোমরা কি মনে কর যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে, যদিও এখনও তোমাদের নিকট তোমাদের পূর্ববর্তীদের অবস্থা আসেনি ? অর্থ-সংকট দুঃখ-ক্লেশ তাদেরকে স্পর্শ করেছিল এবং তারা ভীত কম্পিত হয়েছিল এমন কি রাসুল এবং তাঁর সাথে ঈমান আনয়নকারীরা বলে উঠেছিল-আল্লাহর সাহায্য কখন আসবে? হ্যাঁ,হ্যাঁ, আল্লাহর সাহায্য নিকটেই (বাকারা-২১৪)”
উপরোক্ত আয়াতগুলো থেকে এটাই নিশ্চত যে, কেহ ঈমান আনয়নের দাবি করিলে তাকে পরীক্ষা করা হবেই হবে, তাই আসুন আমরা সেই পরীক্ষার যথাযত প্রস্তুতি গ্রহন করি আল্লাহ আমাদের কবুল করুন-আমীন